বনশ্রী এলাকায় টহল জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ AM

রাজধানীর বনশ্রীতে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় নড়েচড়ে উঠেছে দেশ। এ ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীকে গুলি করা ডি ব্লকের সেই স্থান পরিদর্শনে এসেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকে ছিনতাইয়ের ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর একটি দল।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর আগে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা পুরো বনশ্রী এলাকা পরিদর্শন করেছে। এমনকি সতর্কতা হিসেবে আফতাবনগর মেইন গেটেও টহল বসিয়েছে পুলিশ।

এলাকাবাসী বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বনশ্রী এলাকায় কিছু ওপেন ফায়ার করা হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বাসিন্দা বলেন, আন্দোলন চলাকালীন প্রতিটা ছোট-বড় গলির মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল ছিল। সেই সময়ে ঘর থেকে বের হওয়ারও কোনো উপায় ছিল না। এখন সেই সব ফোর্স কোথায়? প্রকাশ্যে ছিনতাইকারী, র‍্যাপিস্ট অ্যাটাকের ভয়ে ঘরে লুকিয়ে থাকার জন্য কি যুদ্ধ করেছিলাম? তফাৎ কোথায়?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি প্রসঙ্গে আরেক বাসিন্দা বলেন, ঘটনা ঘটেছে রাত ১০-১১টার দিকে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেছে। দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রেই এমন ঘটে। ঘটনার পর তো আর তাদের কোনো কাজ নেই। এগুলো দায় এড়ানো ছাড়া কিছুই না।

অপর এক বনশ্রীবাসী বলেন, প্রায়ই আমি রাত ১২টার পর বাসায় ফিরি। কিন্তু আগের মতো তেমন সিকিউরিটি গার্ড দেখি না। দুয়েকজন দেখলেও তারা বৃদ্ধ, পুলিশ তো চোখেই পড়ে না। অথচ একটা সময় দেখতাম রাত ১১-১২টার পরই প্রতিটা গেট লক করে দেওয়া হতো, সেগুলোতে গেটম্যান থাকত। এখন এগুলোর কিছুই চোখে পড়ে না। তাহলে ঘটনার পর তাদের এত টহলের দরকার কী?

এ ঘটনাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতির ব্যর্থতা মেনে নিয়ে জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পদত্যাগের দাবি তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নতির আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ঘুম হারাম করে দেবার হুমকি দেন।

প্রসঙ্গত, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে স্বর্ণ-ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে (৪৩) গুলি ও ছুরিকাঘাত করে প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক— বলেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।