রাজধানীতে অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত
ঢাকা শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের চলমান অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি গত ৬ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় গৃহীত হয়।
আগের বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা শহরের যানজট কমানো এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধি এবং পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস. এম সালেহউদ্দিন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইতোমধ্যে ৪,২০০ জন পুলিশ সদস্য এবং ৬০০ ছাত্র প্রতিনিধিকে মাঠে নিয়োগ করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে ৪৫,৪৫৭টি ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ৫,৯৭৯টি পায়ে চালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৫ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে এবং ১,৩৯,০০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪টি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পাইলট প্রকল্পের ফলাফল পর্যালোচনা করে আরও ১৮টি ইন্টারসেকশনে একই ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জানিয়েছেন, সড়কে যানবাহন চলাচল উন্নত করতে সিটি কর্পোরেশনকে রোড মার্কিং, ট্রাফিক সাইন এবং বাস স্টপেজে মার্কিং কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে। ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
