থার্টি ফাস্টে জলন্ত ফানুস পড়ে ধানমন্ডি ও মিরপুরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ AM

সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও রাজধানীতে ফানুস, আতশবাজি ও পটকা ফুটিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেছে মানুষ। তবে এতেই ঘটে গেলো দুর্ঘটনা। খ্রিষ্টীয় নতুন বছর স্বাগত জানিয়ে উড়ানো জ্বলন্ত ফানুস পড়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত দেড়টার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাফি আল ফারুক জানান, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে রাত ১২টা ৫৩ মিনিটে খবর আসে ল্যাবএইড হাসপালের পাশে স্বপ্ন সুপার শপের পরিত্যক্ত মালামালে ফানুস পড়ে আগুন লেগেছে। ধোঁয়ায় আতঙ্কিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে অবশ্য ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়।

তিনি আরও বলেন, রাত ১২টা ৩৭ মিনিটে খবর আসে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায় এক ডাস্টবিনের ময়লায় অগ্নিকাণ্ড হয়। পরে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হলে খবর আসে আগুন নিভে গেছে।

প্রসঙ্গত, ডিএমপি ও সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এবারও আইন অমান্য করে রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায় ঢাকাবাসী। আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। পটকার শব্দে মুহুর্মুহু কেঁপে ওঠে মানুষের হৃদয়। তবে এবার সংখ্যায় ফানুস কম। যদিও নিষেধাজ্ঞা ছিল এসব আয়োজনে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে এবারও নতুন বছরকে উদযাপনে ছিল আতশবাজি-ফানুসের আয়োজন।

এর আগে ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি, সব বার বন্ধ রাখা এবং হোটেলগুলোর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের শর্ত জারি করা হয়। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও আতশবাজি-পটকা ফোটানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে বাস্তবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরপরই চারদিক কাঁপিয়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতে থাকে। এর পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চ স্বরে গান বাজানো চলমান থাকে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজধানীবাসী।