থার্টি ফাস্টে ফানুস-আতশবাজিতে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে দুই শিশু
সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজধানীতে ফানুস, আতশবাজি ও পটকা ফুটিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেছে মানুষ। তবে এতেই ঘটে গেলো দুর্ঘটনা। রাজধানীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ফানুস ও আতশবাজি পোড়ানোর ঘটনায় দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান।
বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, ইংরেজি নতুন বছর বরণে পটকা ফোটানোর কারণে দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নাম ফারহান (৮)। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরেক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত ঘটনা জানা যায়নি।
আহত শিশুদের পরিবারের বরাত দিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, নতুন বছর বরণ করতে রাস্তাঘাটে পটকা ফোটানোর কারণে তারা দগ্ধ হয়েছে।
এর আগে ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে যেকোনো অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি, সব বার বন্ধ রাখা এবং হোটেলগুলোর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের শর্ত জারি করা হয়। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও আতশবাজি-পটকা ফোটানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে বাস্তবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরপরই চারদিক কাঁপিয়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটাতে থাকে। এর পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে উচ্চ স্বরে গান বাজানো চলমান থাকে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজধানীবাসী।