জুরাইনে অটোরিকশাচালদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ
রাজধানীর জুরাইন রেলগেট অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। এ সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জুরাইন ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এর আগে জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জুরাইন রেল স্টেশনে আটকা পড়ে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার। অন্যদিকে কমলাপুরের শহরতলী স্টেশনে খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন আটকা পড়ে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-মাওয়া-পদ্মাসেতু রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে পিছু হটলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ট্রেন চলাচল এখনও শুরু হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অবরোধের কারণে জুরাইন রেল স্টেশনে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার আটকে যায়। একই কারণে খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেনটি কমলাপুরের শহরতলী স্টেশনে আটকে আছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশের পরদিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা। বৃহস্পতিবার রিকশা চালকদের অবরোধে স্থবির হয়ে যায় রাজধানী। এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান তারা। অবরোধের কারণে প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে অটোরিকশা বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা তারা মানেন না। এই নির্দেশ প্রত্যাহারও চান তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে প্যাডেলচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার বিধান থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স পেতে রিট করা করা হলে হাইকোর্ট ওই দুই রিটই খারিজ করে দেন।