আজ ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩০ AM

চব্বিশের জুলাইয়ের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী ছিল প্রতিরোধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। অনেকেই একে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্ট্যালিনগ্রাড' বলে অভিহিত করেন। বিশেষ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজের আত্মত্যাগ ও অদম্য সাহসিকতা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। এই গৌরবময় বীরত্ব ও সংগ্রাম আজকের প্রজন্মের জন্য এক অনন্য প্রেরণা ও দিকনির্দেশনা।

এই প্রতিরোধ, সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে আগামী সোমবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে-২০২৫’।

যাত্রাবাড়ীর ইবনে সিনা হাসপাতাল সংলগ্ন রাজপথে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন উপদেষ্টা, সচিব এবং শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষা অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বিকেল ৩ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটিতে শহীদ পরিবার ও আহতদের স্মৃতিচারণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, ২০১৩, ২০২১, ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রামাণ্য গল্প, হামদ, নাত, নাশিদ, কবিতা আবৃত্তি ও দ্রোহের গান এবং ছত্রিশে জুলাই ও ‘সাদা জোব্বা, লাল রক্ত’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনী হবে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে প্রতিরোধ ও পুনর্জাগরণের প্রতীকী উপস্থাপনা ড্রোন শো।  

বাংলাদেশ সরকার মাদরাসা শিক্ষার্থীদের এই বীরত্বপূর্ণ ভূমিকাকে প্রথম বারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আয়োজনে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের উপদেষ্টা, সচিব, শিল্প-সাহিত্য-শিক্ষা অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যখন রাজপথ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল, তখনই মাদরাসার ছাত্ররা দেশপ্রেম, নৈতিকতায় বলীয়ান হয়ে স্বৈরাচারের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। রক্তের দামে লেখা সেই ইতিহাস যেন হারিয়ে না যায়, তারই অংশ হিসেবে এই আয়োজন।

সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, যাত্রাবাড়ী ও অন্যান্য স্পটের জুলাই সহযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণকে এই রাষ্ট্রীয় স্মরণানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।