উত্তরা ট্রাজেডি

মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত: স্ত্রীকেও সঙ্গে এনেছেন রক্ত দিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫২ PM

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় পুরো জাতি গভীর শোক ও বেদনায় নিমজ্জিত। দেশের মানুষ যে যার জায়গা থেকে আহতদের জন্য প্রার্থনা করছেন, আর অনেকেই সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

আহতদের চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন মেটাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ছুটে এসেছেন শত শত মানুষ। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই যে মানবিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা সত্যিই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে দুর্যোগের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।

দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় রক্ত জোগাতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় করছেন শত শত মানুষ।

পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের রক্তদাতার অভাব না থাকলেও নেগেটিভ গ্রুপের রক্তে সংকট দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে এমন মানবিক দৃশ্য চোখে পড়ে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধ অনেক রোগীর শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। ফলে তাদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। এ খবরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। হাসপাতালের গেটের সামনে রক্তদাতাদের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে। অনেকেই একসঙ্গে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন রক্ত দিতে।

হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা রক্তদানে আগ্রহী এক ব্যক্তি বলেন, "সংবাদ দেখে আর ঘরে থাকতে পারিনি। স্ত্রীকেও সঙ্গে এনেছি। সে ‘ও’ পজিটিভ, আমি বি নেগেটিভ। যেখানেই প্রয়োজন, আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত।"

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রক্তদানের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে রক্তদান করছেন। যা মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।