কনকনে শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়ার মানুষ; মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা তেঁতুলিয়া। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় হিমালয়ের হিমেল বাতাসে তেঁতুলিয়ায় চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেশ কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে এ জনপদে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরের হিমেল বাতাসে তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিকেল থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে৷ চারপাশে কুয়াছন্ন পরিবেশের সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা-পাথর, রিকশা-ভ্যান চালকসহ শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের।
এই কনকনে শীতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনযাপন করছে। বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে বাড়ির আশপাশে এবং পথঘাটে শীতার্তদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এদিকে, প্রচণ্ড শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারেন না। কারণ এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশির ভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অসহনীয় এই অব্যাহত শীতে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ কালবেলাকে বলেন, তেঁতুলিয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ৯টায় ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।