রাতেই আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৮ AM

ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ ক্রমেই উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আজ বিকেল থেকে রাতের মধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুপুর থেকেই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হতে পারে এবং বুধবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে বুধবার থেকে বৃষ্টিবলয় আঁখি শুরু হবে। 

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। 

‘মোন্থা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি আজ সন্ধ্যা অথবা রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।