ফ্যাক্ট চেকিংয়ে বড় পরিবর্তন আনছে মেটা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯ AM

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আর ফ্যাক্ট চেকার থাকবে না, এমন ঘোষণা দিয়েছে মেটা। এর পরিবর্তে, ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ‘কমিউনিটি নোট’ সিস্টেমের মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে, যা কিছুটা ইলন মাস্কের এক্সের মতো।

মেটা এই সিদ্ধান্তটি নেয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগ মুহূর্তে, যখন ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং পদ্ধতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। তারা দাবি করেছিল, ফ্যাক্ট চেকের মাধ্যমে ডানপন্থিদের মতামত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় জাকারবার্গ বলেন, “ফ্যাক্ট চেকাররা রাজনৈতিকভাবে খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। তারা আস্থা অর্জনের চেয়ে আস্থা বেশি নষ্ট করেছে। যে উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল, তা না করে মুক্ত মতামতকে এবং মানুষের ধারণাকে বন্ধ করেছে তারা।”

তবে জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন ফ্যাক্ট চেকার না থাকায় এখন থেকে তাদের প্লাটফর্মগুলোয় ক্ষতিকর কনটেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

মেটা ২০১৬ সালে ফ্যাক্ট চেকিং প্রোগ্রাম চালু করেছিল, যখন অভিযোগ উঠেছিল যে বিদেশি শক্তিরা মেটার প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে।

এছাড়া, মেটা জানায়, তারা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনবে। এর মাধ্যমে অনেক বেশি কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছিল, যা ঠিক নয়। ভবিষ্যতে তারা শুধুমাত্র গুরুতর পলিসি ভঙ্গন, যেমন সন্ত্রাসবাদ, শিশুদের যৌন হেনস্তা, মাদক বা প্রতারণার মতো বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেবে। অন্যান্য বিষয়গুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের মেটাকে অবহিত করতে হবে, এবং এরপর তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ২০২২ সালে টুইটার কিনে নেন। এরপর এটির নাম দেন এক্স। তিনি টুইটার কিনে নিয়েই এটি থেকে ফ্যাক্ট চেকার দলকে বাদ দেন।

সূত্র: সিএনএন