পাট শিল্পকে স্বগৌরবে ফিরিয়ে নিতে চান নতুন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ঈর্ষণীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পাট শিল্পের বর্তমান সংকট নিয়ে ভাবছি, সমস্যাগুলো জানার চেষ্টা করছি। এ শিল্পকে স্বগৌরবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দ্রুত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হবে পাটের সোনালী ঐতিহ্য।
মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকার পাটকে আবার তার ঐতিহ্যের স্থানে ফিরিয়ে আনতে চায়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন, এরই মধ্যে মন্ত্রিসভায়ও প্রধানমন্ত্রী পাট শিল্পের বিষয়টি এনেছেন।
তিনি বলেন, পাট শিল্পে অনেক সমস্যা রয়েছে, সেগুলো জানার ও বোঝার চেষ্টা করছি। এর সমস্যা সমাধানে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে “রূপকল্প-২০৪১” বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ বলেন, পাটকলগুলোর মধ্যে ১৭টি লিজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি জুট মিল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদনে আছে এবং রপ্তানি করছে। আমাদের জুট মিলের মধ্যে ২টায় বিদেশি কোম্পানি সরাসরি শতভাগ বিনিয়োগ করেছে, আরও একটি তাইওয়ানের কোম্পানি বিনিয়োগে আসতে চায়। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সব কিছু এগিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ২০২৩ ঘোষণা করেছিলেন।
সুতা/প্রসং/সমটিনি