তাজমহল বানাতে কতো খরচ হয়েছিল?
আগ্রার এই প্রাচীন স্মৃতিসৌধের নির্মাতা মুঘল সম্রাট শাহজাহান স্বয়ং। তাঁর নির্দেশেই প্রয়াত স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিতে এই সৌধ নির্মিত হয়। কেউ বলেন স্ত্রীর প্রতি সম্রাটের ভালোবাসার নিদর্শন এই মহল। কারও মতে অত্যাচারিত স্ত্রীর মৃত্যুর পর অনুশোচনার জেরে এই মহল নির্মাণ করেন সম্রাট। এসব নিয়ে নানা মুনির নানা মত। শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতি সৌধের আনাচ কানাচে লুকিয়ে রয়েছে নানা তথ্য, নানা রহস্য, নানা অজানা ইতিহাসের কথা।
তাজমহল শাহী জাঁকজমকের প্রতীক এবং মোঘল সাম্রাজ্যের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থার নিদর্শন ছিল
তাজমহল বানাতে কতো খরচ হয়েছিল?
মহল তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর। তাজমহল বানানোর কাজ শেষ হয় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে। যদিও এরপরে ছোটখাটো কাজ সম্পন্ন করতে আরও দুই বছর সময় লাগে। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তাজমহল নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ ও কারুশিল্প ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এর মূল্যের নির্ধারণে বিভিন্ন সময়ের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।
এই তৃতীয় স্ত্রী মুমতাজেতর মৃত্যুর পরেই তাঁর স্মৃতিতে ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তাজমহল তৈরি শুরু করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করতে তাজ নির্মাণ যুক্ত ছিলেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। এই মহল তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর। তাজমহল বানানোর কাজ শেষ হয় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে। যদিও এরপরে ছোটখাটো কাজ সম্পন্ন করতে আরও দুই বছর সময় লাগে। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
ক্যালিগ্রাফি ও আল্লাহর নামের খোদাই
তাজমহলের দেওয়ালে যে সকল হস্তলিপির ব্যবহার করা হয়েছিল তা বেশিরভাগই মুসলিম ধর্ম গ্রন্থ কোরাণ শরিফ থেকে নেওয়া হয়েছিল। তাজমহলের দেওয়াল ছাড়াও মুমতাজ মহল এবং সম্রাট শাহজাহানের সমাধিতে এইরূপ শ্লোকগুলি খোদাই করা হয়েছিল। তাজমহলের বিভিন্ন স্থানে ক্যালিগ্রাফি শিলালিপি হিসেবে আল্লাহ-র ৯৯টি ভিন্ন নাম খোদাই করা রয়েছে।