আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, উন্নয়ন হয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষ অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ মানুষ ভোট চায়, দেশের উন্নয়ন চায়। আর এ কারণেই তারা বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে সাড়া দিচ্ছে না।
আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ইনশাআল্লাহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নৌকাকে নির্বাচিত করবেন।"
নির্বাচনী প্রচার শুরুতে আজ সকালে সিলেট পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিমানযোগে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, উন্নয়ন হয়। এই মুহূর্তে সিলেটে কোনো ঘরহীন বা ভূমিহীন মানুষ নেই। আমরা এভাবে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। ইনশাআল্লাহ, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য চাহিদাও পূরণ করা হবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি, এখন তা ধরে রাখতে হবে।"
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, "আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বা রেল লাইন উপড়ে মা ও শিশুদের হত্যা বা অসহায় মানুষকে হত্যা করা- এ কেমন রাজনীতি? বাংলার মানুষ এমন হত্যার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।"
মানুষ নির্বাচন চায়, ভোট উৎসব চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তারা মানুষ হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। কিন্তু ২০১৩ ও ২০১৪ সালে তাদের এমন রাজনীতি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০১৮ সালেও তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "ভোট জনগণের অধিকার। ভোটে বা নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে জনগণ তাদের উৎখাত করবে। অগ্নি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ সময় তার সাথে ছিলেন ছোটো বোন শেখ রেহানা, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১ টায় তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
হয়রত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে হয়রত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
প্রতিবারের মতো এবারও সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই উপলক্ষে আজ বিকেলে জেলার আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর আজ আবার সিলেটের কোনো জনসভায় বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জড়ো হবেন বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতির দিক-নির্দেশনা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্বাচনী সফরের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে দল।