লন্ডন থেকে 'গ্রিন সিগন্যাল' পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৭ AM

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নতুন ধারা এনেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে সরাসরি সম্ভাব্য প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই ও তদারকি করছেন।

সূত্র জানায়, প্রতিটি আসনের প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও সাংগঠনিক সক্ষমতা নিজে মূল্যায়ন করছেন তিনি। এ জন্য অনেক প্রার্থীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলছেন ও মতবিনিময় করছেন তারেক রহমান।

ফোনালাপে স্পষ্ট হচ্ছে, কে পাচ্ছেন মনোনয়নের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ আর কে বাদ পড়ছেন নির্বাচনী তালিকা থেকে। বিএনপি সূত্রে আরও জানা গেছে, এবারের প্রার্থী বাছাইয়ে শুধু সিনিয়রিটি নয়, মাঠের বাস্তবতা ও জনগণের পছন্দকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা

ঢাকা-৩: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন

ঢাকা-৬: ইশরাক হোসেন

ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাস

ঢাকা-১০: নাছির উদ্দিন আহমেদ অসীম

ঢাকা-১২: হাবিব উন খান নবী সোহেল

ঢাকা-১৩: ববি হাজ্জাজ

ঢাকা-১৪: সানজিদা ইসলাম তুলি

ঢাকা-১৫: মামুন হাসান

ঢাকা-১৬: আমিনুল হক

উল্লেখ্য: ঢাকা-১৪ আসনে সানজিদা ইসলাম তুলি নির্বাচনের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েছেন, যা তরুণ ভোটারদের আকর্ষণে সহায়ক হবে।

দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসন

কুমিল্লা-১: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ঠাকুরগাঁও-১: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নরসিংদী-২: ড. আব্দুল মঈন খান

সিরাজগঞ্জ-২: ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

কক্সবাজার-১: সালাহউদ্দিন আহমদ

ভোলা-৩: মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ

নোয়াখালী-৩: বরকতউল্লাহ বুলু

নোয়াখালী-৪: মো. শাহজাহান

লক্ষ্মীপুর-৩: শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

যশোর-৩: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

গাজীপুর-৫: ফজলুল হক মিলন

আরও অন্যান্য আসনে শীর্ষস্থানীয় ও পরীক্ষিত নেতারা।

মনোনয়ন প্রক্রিয়ার নতুন কৌশল

প্রার্থী বাছাইতে স্থানীয় নেতাদের পাশ কাটিয়ে সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ।

গ্রিন সিগন্যাল প্রাপ্ত প্রার্থীকে সর্বাত্মক সহায়তা।

অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা বিভাজন হলে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ।

দেশের জোট এবং শরিক দলের সঙ্গে আসন বণ্টনের ভারসাম্য বজায় রাখা।

তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মনোনয়ন প্রক্রিয়া:

দলের ভেতরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছে।

প্রার্থীর গুণগত মান উন্নত করছে।

নতুন, যোগ্য ও তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনছে।

নির্বাচনী প্রস্তুতিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।