প্রথমবারের মতো সিলেট থেকে সরাসরি মদিনায় গেল বিমান
সিলেট থেকে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের মদীনায় সরাসরি ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মদীনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২৩৭ ফ্লাইটটি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেলা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বাদশাহ ফাহাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বাসসের।
প্রথম ফ্লাইটে সিলেটের ১৭৫ জনসহ মোট ২৬৮ যাত্রী রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছেন।
বিমানের ব্যবস্থাপক জানান, ওমরাহ পালনকারী যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে বুধবার সিলেট থেকে
মদীনায় এবং বৃহস্পতিবার মদীনা থেকে সিলেটে সরাসরি বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর আগে ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর সিলেট-জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়।
ফ্লাইট চালু উপলক্ষে ওমরাহ যাত্রীদের নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর লাউঞ্জে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ, বিমানের সিলেট জেলা ম্যানেজার মোহাম্মদ বাদশাহ ফাহাদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ বলেন, সিলেট থেকে জেদ্দায় আগেই সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে। প্রতি সোমবার সিলেট থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট রয়েছে, যা মঙ্গলবার সরাসরি সিলেটে ফিরছে। অন্যদিকে, বুধবার সিলেট থেকে মদীনায় সরাসরি ফ্লাইট যাবে এবং বৃহস্পতিবার ফিরবে। এতে সিলেটের যারা ওমরাহ পালনে যাবেন তারা চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যে ওমরাহ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পারবেন।
এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে জেদ্দা রুটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি ফ্লাইট। অর্থাৎ সপ্তাহে বিমানের দু’টি ফ্লাইট সিলেট থেকে জেদ্দা এবং একটি ফ্লাইট মদীনায় যাবে।
এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সৌদি আরবের মদীনায় সরাসরি ফ্লাইটের সাথে ধর্মীয় আবেগ জড়িত। এটি শুরু হলে সিলেট অঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।
হজ্ব এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট অঞ্চলের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, মদীনায় ফ্লাইট চালু করা ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় আগামীতে এ ফ্লাইটের পরিধি আরো বিস্তৃত করার দাবি জানান তিনি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান বলেন, সিলেট থেকে সরাসরি মদীনায় ফ্লাইট পরিচালনা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এর ফলে কম সময়ে সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন।