নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ চলছে সারাদেশে : ডিএমপি কমিশনার
-1230245.png?v=1.1)
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে পুলিশের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে বড় ধরনের কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি। ফলে এখনকার দুই লাখ পুলিশ সদস্যের প্রায় অর্ধেকই নতুন যাদের অনেকেই কখনো ভোট দেননি, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনও করেননি। তাই সবাইকে প্রস্তুত করতে সারাদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, ডিএমপিতেও চলছে ট্রেনিং কার্যক্রম। আমি আমার অফিসারদের বলেছি, শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এবারের নির্বাচনকে ঘিরে একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরির আশা করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা একটি দল এবার অংশ নিতে পারছে না, তাই তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি দল নিষিদ্ধ ঘোষিত। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার চেষ্টা করছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি, যাতে কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড না ঘটে।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, নভেম্বরের শেষ দিকে একটি সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে বলে তিনি আশাবাদী।
তিনি বলেন এখন সবাই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ ভোট দিতে চায়। এমনকি অনেকের বয়স ৩৫-৪০, কিন্তু জীবনে কখনো ভোট দেয়নি—এটাই আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক।
নিষিদ্ধ দলটির মিছিল-সমাবেশ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তবে সেগুলোর বেশিরভাগই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেন্দ্রিক। অনেকে নাইট কোচে এসে অল্প সময়ের জন্য ব্যানার দেখিয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে দেয়। এতে মনে হয় বড় মিছিল হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি অস্বীকার করা যায় না, তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট।