চুল পড়ার কারণ ও কিছু প্রতিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ PM

অনেকেই চুল পড়া নিয়ে টেনশনে ভোগেন। ফলে চুলের যত্নে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি। 

বংশগত কারণ ছাড়াও পুষ্টির ঘাটতি এমনকি বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও চুল পড়ে। চলুন চুল পড়ার কারণ ও এর কিছু প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

হরমোনের পরিবর্তন
নারীর মেনোপজের সময় হরমোনের ওঠানামার কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে অ্যান্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে মেনোপজের সময় ও পরে চুলের ফলিকল কমে যায়, চুল পাতলা হতে পারে। এর সমাধান হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, হরমোন নিয়ন্ত্রণ করুন ও সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন।

পুষ্টির ঘাটতি
আপনি যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি না খান তাহলে শরীরের পক্ষে আয়রন শোষণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

মানসিক ও শারীরিক চাপ
মানসিক ও শারীরিক চাপ টেলোজেন এফ্লুভিয়াম নামক একটি অবস্থার সৃষ্টি করে। ফলে অতিরিক্ত চুল পড়ে। স্ট্রেসের কারণে টেলোজেন এফ্লুভিয়ামে প্রচুরসংখ্যক চুলের ফলিকলের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে আক্রান্ত চুলগুলো পড়ে যায়। এ সমস্যার সমাধানে মেডিটেশন, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্য নিশ্চিত করুন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।

বংশগত চুল পড়া
চুল পড়ার একটি পারিবারিক ইতিহাস, যা অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া নামে পরিচিত। এক্ষেত্রে চুল পড়ার কারণে মাথায় টাক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষদের বয়স ২০ বা ৩০ বছর পর থেকেই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দয়। এ সমস্যা এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করলে চুল পড়া কমবে। 

কিছু ওষুধ ও চিকিৎসা
বিটা-ব্লকার, ব্লাড থিনার, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ, কিছু ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস ও থাইরয়েড ওষুধ, হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বা স্টেরয়েডের মতো ওষুধের কারণেও চুল পড়ে।

চুলে ক্ষতিকর প্রসাধনীর ব্যবহার
স্টাইলিং সরঞ্জামের অত্যধিক ব্যবহার, চুলের চিকিৎ ও আঁটসাঁট চুল বাঁধার কারণে চুলের ক্ষতি হতে পারে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলগুলো ভঙ্গুর হয়ে ঝরে যায়, শেষ পর্যন্ত মাথায় টাক দেখা দেয়।

অটোইমিউন রোগ
অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা নামে পরিচিত এই ব্যাধির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে চুলের ফলিকলে খারাপ প্রভাব পড়ার কারণে অতিরিক্ত চুল পড়ে। ত্বকের চুল-গঠনের কাঠামোকে চুলের ফলিকল বলা হয়। এই সমস্যার সমাধানে কর্টিকোস্টেরয়েড, ইমিউনোথেরাপি বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।