মানুষের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে যেসব খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৬ PM

আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকি। উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা বিশ্বজুড়েই একটা সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও পরীক্ষা বা চাকরির ইন্টারভিউর মতো নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতির কারণে উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক মানুষ এখন নিয়মিতভাবে উদ্বেগের শারীরিক এবং মানসিক লক্ষণগুলো অনুভব করে।

অনেক সময় হয়তো খুব সামান্য বিষয় আমাদের উদ্বেগ বেড়ে যায়। অ্যাংজাইটি হওয়া বা উদ্বিগ্ন হওয়া কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। সারা বিশ্বে প্রায় সকলেই কখনও না কখনও উদ্বিগ্ন হন। কারও ক্ষেত্রে উদ্বেগের মাত্রা বেশি হয়। কেউ খুব অল্পেই উদ্বিগ্ন হয়ে যান। কেউ বা একদম চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, ওমেগা থ্রি গ্রহণ থেকে শুরু করে কিটো ডায়েট মেনে চলা যে কোনও ধরনের উন্নত ডায়েট উদ্বেগ বা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। 

চলুন জেনে নিই উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে এরকম কিছু খাবারের নাম—

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন, ম্যাকারেল ইত্যাদি মাছ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

চকলেট খেলে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগ কমে। ডার্ক চকলেট এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট আমাদের উদ্বেগ, স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

কুমড়োর বীজ একটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবার খেলে উদ্বেগ এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমে।

উদ্বেগ অর্থাৎ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক চাপ, অবসাদ বা স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে প্রোটিন সমৃদ্ধ অ্যামাইনো অ্যাসিড যুক্ত খাবার। তাই খেতে পারেন ডিম।

হলুদের মধ্যে থাকা এই উপকরণ আমাদের স্ট্রেস, অ্যাংজাইটির তো কমায়ই এর পাশাপাশি প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করেন। তাছাড়াও মনমরা হয়ে থাকার প্রবণতা কমায়।

গ্রিন টি শুধু ওজন কমায় না। এর মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড থিয়ানিন আমাদের মন-মেজাজ ফুরফুরে রাখে।

ব্রাজিল নাটের মধ্যে থাকা সেলেনিয়াম আমাদের মনমেজাজ ভালো রাখে। অ্যাংজাইটি কমায় এবং প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায়।

আমাদের মন এবং মেজাজ শান্ত করতে ক্যামোমাইল টি-এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যাংজাইটি কমায় এই খাবার। কমায় স্ট্রেসও। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে এই চা খেলে বাড়বে বিপদ।

ইয়োগার্ট আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। সেখানে তৈরি করে হেলদি ব্যাকটেরিয়া। যা অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।