নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৩ PM

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলসহ সব মহলের প্রত্যাশা পূরণের বড় দায়িত্ব এখন পুলিশের কাঁধে।

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইড’ সম্মেলন কক্ষে বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সংলাপ ও আলোচনা শুরু হয়েছে। এই সময় পুলিশ সদস্যদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে—কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষাবলম্বন বা সুবিধা নেওয়া-দেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের তালিকা পুলিশের কাছে আছে। তারা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টিতে সক্রিয়। অনেক অপরাধী জামিনে বেরিয়ে আবারও অপরাধে জড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, তবে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, অধীনস্থদের মধ্যে পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও টিম স্পিরিট বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা কমান্ড মানে না বা রাষ্ট্রের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি জেলা পর্যায়ে ঘনঘন কোর কমিটির সভা আহ্বান, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চকে আরও সক্রিয় করা এবং জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, থানা থেকে হারানো বা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান জোরদার করতে হবে। কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে—এ বিষয়ে পুলিশসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে তরুণ পুলিশ অফিসারদের এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় সিসকোর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপাররা যুক্ত ছিলেন।