জানেন কি আপনার এসির তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?
এই তাপমাত্রায় অনেকেই রোজ এসি চালান। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ঠিক কত তাপমাত্রায় এসি চালালে শরীর সুস্থ থাকবে। গরমের সময় কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এসি চালাবেন, এটা বলা যাবে না। তবে চেষ্টা করতে হবে বাইরের তাপমাত্রা যত রয়েছে, তার থেকে যেন এসির টেম্পারেচারের ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রির বেশি না হয়। অর্থাৎ দুপুরের দিকে যদি বাইরের তাপমাত্রা ৪০ থাকে, তাহলে আপনার এসি চালাতে হবে ২৭-২৮ ডিগ্রিতে। এই নিয়মটা মেনে চললেই কিন্তু বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার একটা সামঞ্জস্য থাকবে। ফলে হুট করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। এ সময় রাতে এসি চালাতে হলে মোটামুটি ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে চালান।
তারপর স্লিপ মোড অন করে দিন। এই কাজটা করলে ধীরে ধীরে বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী এসি নিজের টেম্পারেচার ঠিক করে নেবে। ফলে ঘুমের মধ্যে আর ঠান্ডা লাগার ভয় থাকবে না। আর যাদের এসিতে স্লিপ মোড নেই, তারা ভোর বেলায় উঠে এসি বন্ধ করে পাখা চালিয়ে দিন। এই কাজটা করলেই কিন্তু সুস্থ থাকবেন।
এ ছাড়া গরমে রাস্তায় অনেকটা সময় কাটিয়ে হুট করে অফিসের চিলড এসিতে ঢুকলে কিন্তু ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা বাড়বে। তাই এমন বিপদ এড়াতে চাইলে গরম থেকে এসিতে ঢোকার আগে ৫ মিনিট একটু অপেক্ষা করুন। এমনকি এসি থেকে রোদে বের হওয়ার আগে একটু ছায়ায় অপেক্ষা করে তারপর বাইরে পা দিন। তাতেই কিন্তু তাপমাত্রার বৈপরীত্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে শরীর। ফলে শরীর খারাপের আশঙ্কা থাকবে না।
এসিতে থাকলে ঘাম হয় কম। আর এই কারণেই অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান না। এই ভুলটা করেন বলেই তাদের শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে চাইলে এসিতে থাকলেও দিনে অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন। তাতেই শরীরে পানির ঘাটতি মিটে যাবে। তবে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে কিন্তু হঠাৎ করে পানি পান বাড়াবেন না। বরং চেষ্টা করুন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই পানি পান করুন। নিয়মিত এসি চললে তাতে জীবাণু এবং ধুলো-ময়লা বাসা করতে পারে।
আর এসব জীবাণু এবং ডাস্টের দাপটে ফুসফুসে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এসব ভয়াল রোগের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে বছরে অন্তত দুবার এসি সার্ভিস করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকবেন।