গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

কাতারে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করল নেতানিয়াহু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫০ AM

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আগামীকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হিব্রু সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তিনি কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠাবেন না।

গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুরু হয়েছিল, যা তিন ধাপে সম্পাদিত হবে। প্রথম ধাপের মেয়াদ ৪২ দিন হলেও, চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হতে হবে প্রথম ধাপের ১৬ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী সোমবার হবে ১৬ তম দিন। যদি নেতানিয়াহু প্রতিনিধি পাঠাতে না চান, তবে এটি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর করার বিষয়ে বিষয়টি "খুবই চিন্তার" হলেও আশা করা হচ্ছে যে এটি প্রথম ধাপের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে না।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নেতানিয়াহু আবারও যুদ্ধ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে, যদি তিনি দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা না করেন। দ্বিতীয় ধাপে হামাস গাজা থেকে সব জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিতে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে এবং ইসরায়েলের সেনাদের গাজা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

ওয়াল্লা নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেতানিয়াহু শনিবার রাতে তার সামরিক সচিবের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, কাতারে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত তিনি স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং এই বৈঠকের আগে তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চান না। তবে, যেহেতু চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সোমবার আলোচনায় বসা বাধ্যতামূলক, তাই প্রতিনিধিদল না পাঠালে চুক্তির লঙ্ঘন হতে পারে।

এছাড়া, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়াকে সরিয়ে দিয়ে নেতানিয়াহু তার আস্থাভাজন রন ডারমারকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনাকারী দলের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন।