গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু; সাময়িক বললেন নেতানিয়াহু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ AM

গাজায় ১৫ মাসের দীর্ঘ ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েল এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির কারণে গাজার নিরীহ বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় পরে শান্তিপূর্ণ ঘুমের স্বপ্ন দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ যুদ্ধবিরতিকে সাময়িক বলছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, "অভিযান এখনো শেষ হয়নি।"

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানানোর কথা বলেছেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে, যা মূলত ফিলিস্তিনি বন্দি ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির শর্তে চুক্তিতে পৌঁছানো হয়েছে। এই চুক্তি অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে এবং এ সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে, যেখানে আরও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি বাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয় আলোচনা হতে পারে। তৃতীয় ধাপে নিহত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠন শুরু হবে, যা মিসর, কাতার এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হবে।

তবে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার কিছু কট্টরপন্থী মন্ত্রী এই চুক্তির বিরোধিতা করেছেন এবং নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে গাজায় আরও ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, "যদি আবার হামলা শুরু করি, তা হবে আরও শক্তিশালী।"

এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলি আগ্রাসন এখনও থেমে যায়নি। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, ফলে নিহতের সংখ্যা ৪৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন এবং ২০ লাখেরও বেশি গাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, গাজার ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তার তীব্র সংকটে রয়েছে।