ইসরায়েলের স্থল অভিযানে পিছু হটেছে লেবাননের সেনারা!
ভয়াবহ বিমান হামলা চালানোর পর এবার লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্থল অভিযান শুরু করার পর ইসরায়েল সীমান্ত থেকে পিছু হটেছে লেবাননি সেনারা। আজ মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে আংশিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৈরুতের শহরতলির বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার অন্তত এক ঘণ্টা পর সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে যে তারা সীমান্তের কাছে লেবাননে হিজবুল্লাহ অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে সীমিত স্থল অভিযান পরিচালনা করছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট উত্তর ইসরায়েলের স্থানীয় কাউন্সিলের প্রধানদের বলেছেন, লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর যুদ্ধের পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই শুরু হবে। আমরা সম্ভাব্য সকল উপায়ে (আকাশ, সমুদ্র ও স্থল থেকে) অভিযান চালাব।’
লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর অবস্থান থেকে লেবাননের সেনারা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পিছিয়েছে। তবে লেবাননের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি।
ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, পুরো লেবাননে এই অভিযান চালানোর ইচ্ছা নেই। আপাতত আংশিক অভিযান চালাতে চায় ইসরায়েলি বাহিনী।
লেবাননে ইসরাইলের নতুন অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দান অ্যারোস’। ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি চালানো হচ্ছে স্থল ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত শুক্রবার বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও আরও কয়েকজন নেতাকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
লেবাননে চলমান হামলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। রোববার এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।