ফের ইসরায়েলি হামলায় কেঁপে উঠলো লেবাননের রাজধানী বৈরুত
ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজার পাশাপাশি লেবাননেও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার একদিন পর ফের লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বৈরুতের দারিয়েহতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। এতে হাসান নাসরুল্লাহসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন।
এর একদিন পর আবারও বৈরুতকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে তারা।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আজকের হামলায় টার্গেট করা হয়েছে হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের উপপ্রধান নাবিল কাওককে। হামলায় তিনি আহত বা নিহত হয়েছেন কি না সেটি স্পষ্ট করেনি কোনো সংবাদমাধ্যম।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বৈরুতের দাহিয়েতে ‘নির্ভূল’ হামলা চালিয়েছে। তবে কার উপর হামলা চালিয়েছে সেটি তারা তাৎক্ষণিকভাবে উল্লেখ করেনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আজকের হামলার পরও বৈরুতে বিকট শব্দ শোনা গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাটি বেশ বড় ছিল।
গতকাল হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করতে গত কয়েক দশকের মধ্যে বৈরুতে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তাদের এই হামলায় বেশ কয়েকটি উঁচু ও বড় ভবন ধসে যায়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে লেবাননে ইসরায়েলের চালানো হামলায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহ ও লেবাননের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ হয়েছিল ২০০৬ সালে। ৩৪ দিন চলা ওই যুদ্ধে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন। সেখানে গত ১০ দিনে ১ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যার মধ্যে অনেক বেসামরিক সাধারণ মানুষ রয়েছেন।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সৌদি আরবসহ ১২ টি লেবাননে হামলা বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে। যদিও উপর উপর লেবাননে হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তবে নতুন করে সাত বিলিয়ন ডলারের অধিক সহায়তা দিচ্ছে দেশটি।
এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে লেবাননে হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুধু তাই নয়, ইরানেও হামলা চালাতে পারে বলে জানিয়েছে এই নেতা।
সূত্র: সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল