বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
-1230901.jpg?v=1.1)
রাশিয়ার বৃহত্তম দুটি তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট ও লুকঅয়েলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরদিনই, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
মার্কিন অর্থ বিভাগ ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে রাশিয়ার অস্বীকৃতির কারণ দেখিয়ে বুধবার (২২ অক্টোবর) রোজনেফ্ট ও লুকঅয়েলের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জ্বালানি সরবরাহে অনিশ্চয়তা বাড়াবে, যার প্রভাব ইতোমধ্যে বৈশ্বিক তেলবাজারে পড়তে শুরু করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের প্রতি ব্যারেলের দাম ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৫ দশমিক ৯৮ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিইটিআই) ক্রুড ফিউচারের প্রতি ব্যারেলের দাম ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬১ দশমিক ৮১ ডলার।
সাক্সো ব্যাংকের বিশ্লেষক ওলে হ্যানসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে চীন ও ভারতের মতো রুশ তেলের বড় ক্রেতাদের বিকল্প সরবরাহকারী খোঁজতে হবে। এটি না হলে তারা পশ্চিমা ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে।’
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেনে, রাশিয়ার প্রধান অর্থকরী জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রেমলিনের রাজস্ব সংগ্রহের সক্ষমতা হ্রাস করা।
একই সঙ্গে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন স্কট বেসেন্ট। বলেছেন, ‘এখনই হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরেকটি যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয় আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য রোসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৯তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি নিষিদ্ধও অন্তর্ভুক্ত আছে।
সূত্র: রয়টার্স