বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌমাছি মোতায়েন ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ PM

বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নির্বিচার হত্যা, জেল ইত্যাদি নিত্যদিনের ঘটনা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে। বিগত সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে তথাকথিত বন্ধুত্বের অজুহাতে সীমান্ত হত্যা নিয়ে টু শব্দটি করা যেতো না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। যদিও সীমান্তে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ, চোরাচালানির অভিযোগে তারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তবে বিশিষ্টজনের অভিমত, যতই চোরাচালান হোক, বন্ধু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এভাবে বিনা বিচারে নির্মম হত্যাকাণ্ড মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়।

এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাঁটাতার দিয়েছে রেখেছে ভারত। এর পরেও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারায় এবার মৌমাছি মোতায়েন করেছে ভারত। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাদিপুর জড়ো হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শিখতে দেখা যায়। সেসময় তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা ছিল।

সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের আশা, যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।

বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, ‘সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।’