ইসরায়েলকে রক্ষায় আরও যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠাচ্ছে আমেরিকা
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার বদলা নিতে ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ইরান। আর এমন আশঙ্কায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকার। ইরানের হামলা প্রতিহত করতে যেকোনো কিছু করতে চায় তারা। এমনকি ইসরায়েলকে বাঁচাতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে আরও যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান মোতায়েনের কথা নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। এ ছাড়া ইসরায়েলকে রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। এছাড়াও বিবিসি, এবিসি নিউজ, খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাঈল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহর এক নেতা নিহতের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহেরানে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন ইসমাঈল হানিয়া।
ইসমাঈল হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন। এ ছাড়া তিনি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
৬২ বছর বয়সী ইসমাঈল হানিয়া হামাসের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। গাজা যুদ্ধ বন্ধে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন। তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরই হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরের নিহত হওয়ার খবর আসে।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়নের পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ইসমাঈল হানিয়া নিহতের ঘটনায় হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার শুকুরের নিহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে।