নিউইয়র্কে ভূমিকম্প: কেঁপে উঠল জাতিসংঘ ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ AM

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নিউইয়র্ক। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নিউইয়র্ক থেকে ৫০ মাইল উত্তরের নিউ জার্সির লেবাননে। 

গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে নিউইয়র্ক সিটির অসংখ্য মানুষ কম্পন অনুভব করেন। ওই সময় অনেক বাড়ি ঘর কেঁপে ওঠে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানায় এটি একটি ভূমিকম্প ছিল। ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নিউইয়র্কের পূর্বঞ্চলীয় বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুরো শহর জুড়ে ভূমিকম্পের সাইরেন বেজে ওঠে। 

এছাড়া নিউইয়র্কে ভূমিকম্পের পর ৬টি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঞ্চলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৪০ মাইল পশ্চিমে নিউ জার্সির হোয়াইটহাউস স্টেশন। কম্পন অনুভূত হয়েছে নিউ জার্সি আর ফিলাডেলফিয়াতেও।

এদিকে, ভূমিকম্পের সময়ে বৈঠক চলছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। হঠাৎ ভূমিকম্পে চমকে ওঠেন অধিবেশনে অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা। এ সময় কথা বলছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জান্তি সোয়েরিপ্তো।

গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন তিনি। তখন হঠাৎ করে জাতিসংঘের ভবনটি কেঁপে ওঠে। ছেদ পড়ে আলোচনায়। কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে আবারও বক্তব্য দেয়া শুরু করেন জান্তি সোয়েরিপ্তো।

কম্পন অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে। ভূমিকম্পের পর পরই ইস্ট কোস্টের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয়। ভূমিকম্পের আঘাতে ওয়াশিংটন মনুমেন্টে ফাটল ধরেছে। এছাড়া হোয়াইট হাউস ও ক্যাপিটল হিল থেকে সরিয়ে নেয়া হয় কর্মকর্তাদের।

তবে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস