গাজায় মানবিক বিপর্যয়; না খেতে পেয়ে ২ মাসের শিশুর মৃত্যু
মানবিক বিপর্যয়ের সর্বোচ্চ স্তর অতিক্রম করেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বর্বর হামলা ও নৃশংসতায় অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে গাজার প্রায় ২২ লাখ মানুষ। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় না খেতে পেয়ে দুই মাস বয়সী একটি ছেলেশিশু নিহত হয়েছে। আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা শেহাব জানিয়েছে, শুক্রবার গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে মাহমুদ ফাতুহ মারা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষীণকায় মাহমুদ হাসপাতালের বিছানায় শ্বাস নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে একজন স্বাস্থ্যকর্মী তার কাছে ছুটে যান। এরপর তিনি জানান, মাহমুদ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে মারা গেছে।
ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, একজন নারী তার শিশুসন্তানকে নিয়ে আসছে আর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। তার ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া শিশুটি শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে ছিল।
তিনি বলেন, আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে যান। কয়েক দিন সে দুধ খায়নি। কেননা গাজায় শিশুদের খাওয়ার মতো কোনো দুধ নেই।
গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে ২৩ লাখ মানুষের এই উপত্যকায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। তবে হামাসের সঙ্গে দেনদরবার শেষে ডিসেম্বরে মানবিক ত্রাণসহায়তার জন্য একটি প্রবেশপথ খুলে দেয় তারা। তবে এখন গাজায় যে ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করছে তা প্রয়োজেনর তুলনায় খুবই নগণ্য। জাতিসংঘ বলছে, গাজার ২৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি উঠলেও আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল ও তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।