রোজার আগে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে রাফায় হামলার হুমকি ইসরায়েলের
![ইসরায়েল-ফিলিস্তিন](https://citizenjournal24.com/resources/img/article/202402/94754_164.jpg?v=1.1)
রোজা শুরুর আগেই জিম্মিদের না ছাড়লে রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান চালাবে ইসরায়েল। গত রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, আগামী ১০ মার্চ রমজান মাস শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্যান্টজ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, জিম্মি থাকা আমাদের নাগরিকরা যদি রমজানের শুরুতে নিজ বাড়িতে না ফিরতে পারে তাহলে রাফাহ অঞ্চলের সর্বত্র অভিযান চলবে।’
গ্যান্টজ আরও বলেন, ‘ইসরায়েল এমনভাবে অভিযানটি পরিচালনা করবে যাতে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা কমানো যায়। বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা আমাদের আমেরিকান এবং মিশরীয় মিত্রদের সাথে আলোচনা করবো।’
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, যদি রাফায় হামলা করা না হয়, তবে সেটা হবে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার শামিল।
গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহর ফিলিস্তিনিদের কাছে বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধ শুরুর পর বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মিশরের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যপক হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। যা এখনও চলমান।
ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেও হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি।
৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। নিহত ও আহতের পাশাপাশি বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনেকে চাপা পড়েছেন।