এআই দিয়ে বানানো ভুয়া ভিডিও ছড়াচ্ছে, অনুসারীদের সতর্ক করলেন মুফতি মেনক

নিজস্ব প্রতিবেদক
Online desk Online desk
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১২ PM

বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মুফতি ইসমাইল মেনক তার মুখ, কণ্ঠস্বর ও নাম ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর ভুয়া ভিডিও ও অডিও ছড়ানোর বিষয়ে অনুসারীদের সতর্ক করেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, এসব ভিডিওতে তাকে এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে—যেগুলোর সঙ্গে তার আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বিবৃতিতে মুফতি মেনক বলেন,  এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা কিছু ভিডিও ও অডিওতে আমাকে এমন রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক বিষয়ে কথা বলতে দেখানো হচ্ছে, যেগুলো আমি কখনো বলিনি এবং বলতেও চাই না। এসব ভুয়া কনটেন্ট বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি আরও বলেন, আমি শুধু আমার ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত কনটেন্টের জন্য দায়ী। অন্য কোথাও প্রকাশিত কোনো বক্তব্য আমার নয়। অনুসারীদের বলছি, কোনো সন্দেহজনক ভিডিও বা অডিও দেখলে তা যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না।

মুফতি মেনক স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও প্রযুক্তিনির্ভর ভুয়া কনটেন্ট থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। তিনি বলেন, “প্রতারণার শিকার হওয়া নয়, বরং সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সবার দায়িত্ব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনকার উন্নত ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই তৈরি করা যায় এমন সব ভিডিও ও অডিও, যেখানে কাউকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়—যেন তিনি কিছু বলছেন বা করছেন, যদিও বাস্তবে তা সত্য নয়। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা সমাজে অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের পরিচয় ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানোর ঝুঁকি আরও বেশি।

উল্লেখ্য, মুফতি ইসমাইল মেনক জিম্বাবুয়ের একজন প্রখ্যাত ইসলামি আলেম ও বক্তা। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের অ্যালডারগেটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক নির্দেশনায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি নিয়মিতভাবে বিশ্বের ‘সর্বাধিক প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম’-এর তালিকায় স্থান পাচ্ছেন। লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। সহজ-সরল উপস্থাপনভঙ্গি, রসিকতাপূর্ণ বক্তৃতা এবং বাস্তবমুখী পরামর্শের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই কঠোর অবস্থানে থেকেছেন।