ইসরায়েলি হামলায় বন্ধ হয়ে গেল গাজার ২য় বৃহত্তম হাসপাতাল
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। যুদ্ধাপরাধী দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় জ্বালানি ও কর্মী সংকটে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম নাসের হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় প্রশাসন ও জাতিসংঘের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধ, জ্বালানির ঘাটতি এবং ইসরায়েলি অভিযান গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালটিকে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর করে দিয়েছে। হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি হামলায় আহত ও গুরুতর জখম নিয়ে অসংখ্য ফিলিস্তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্ত এটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা আরও বড় সংকটে পড়ল।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাসপাতাল চালানোর মতো জ্বালানি বা কর্মী না থাকায় রোববার থেকে হাসপাতালটিতে সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদ্রা বলেন, উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতালে সেবাদান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে মাত্র চারটি মেডিকেল টিমে ২৫ জন কর্মী রয়েছেন। ভেতরে যেসব রোগী আছেন, এখন শুধু তাদেরই সেবা দিচ্ছেন কর্মীরা।
তিনি জানান, তিন দিন ধরে জেনারেটর চালু করতে না পারায় হাসপাতালে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ। অক্সিজেন না পেয়ে অন্তত সাত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত চার মাসের অধিক সময়ে ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৯ হাজারে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৯ হাজারের মতো। শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় চলছে উপত্যকাটিতে।