গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫ PM

গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিল ইসরায়েলের বাসিন্দারা। সর্বশেষ জিম্মিদের স্বজনরা পার্লামেন্টে ঢুকে হট্টগোলের পর ফিলিস্তিনের গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল।

দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এবং মিশরের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হামাসের কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে।  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রস্তাবে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়াকে কয়েকটি স্তর বা পর্যায়ে ভাগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন, সবার আগে তাদের মুক্তি চায় ইসরায়েল।

পরবর্তী পর্যায়গুলোতে আটক ইসরায়েলি নারী সেনাসদস্য, বেসামরিক তরুণ-তরুণী ও পুরুষ সেনাসদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। 

সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে কতজনকে মুক্তি দেওয়া হবে— সেই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

প্রস্তাবে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি ইসরায়েল; তবে বলেছে, গাজার প্রধান শহরগুলোতে ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি হ্রাস করা হবে এবং যুদ্ধ শুরুর পর উপত্যকার যেসব ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ছেড়েছে তাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সেখানকার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে আরও ১০ সেনা নিহতের কথা স্বীকার করল ইসরায়েল।

সোমবার দক্ষিণ গাজায় একটি ঘটনাতেই এই সেনা নিহত হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

এ নিয়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত বছরের ২৮ অক্টোবর গাজায় শুরু হওয়া স্থল অভিযানে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ২০৮ জনে দাঁড়াল।

আইডিএফ জানায়, সোমবার দক্ষিণ গাজায় অভিযানের সময় দুটি ভবনে বিস্ফোরণ ও একটি ট্যাংকে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলায় এই ১০ জন সেনা নিহত হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে ওই উপত্যকায় স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। 

সূত্র: ইসরয়েল ন্যাশনাল নিউজ, টাইমস অব ইসরায়েল, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, সিএনএন, এনবিসি, ইয়াহু নিউজ, এক্সিওস, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স