গাজায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি
এর আগে বলা হয়েছিল আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। হামাসের সিনিয়র নেতা মূসা আবু মারজুক গতকাল (বুধবার) বলেছিলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বন্দি বিনিময় চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হবে। মারজুকের ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরাইলি কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। এরপর ইসরাইল যুদ্ধবিরতি একদিন পিছিয়ে যাওয়ার দাবি করে।
তবে আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এর আতওায় প্রথম ধাপে চারদিনের বিরতি কার্যকর করা হবে। এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় জিম্মিদের প্রথম দলকে মুক্তি দেবে হামাস।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদিন হামাসের হাতে বন্দি ১৩ জন নারী ও শিশুকে প্রথম মুক্তি দেওয়া হবে। এভাবে করে চারদিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। জিম্মিদের মুক্তিতে পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি এতে আর কোনো বিলম্ব দেখতে পাব না। আমি মনে করি আমরা এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে সবকিছু ঠিক আছে।
কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী রেড ক্রস জিম্মিদের পরিদর্শন করবে ।
এর অর্থ মানবিক সাহায্য, চিকিৎসা এবং জ্বালানি সরবরাহ বহনকারী শত শত ট্রাককে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, যখন ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার উপর দিয়ে সমস্ত বিমান মিশন বন্ধ করে দেবে এবং উত্তরে দৈনিক ছয় ঘন্টা দিনের সময় নো-ফ্লাই উইন্ডো বজায় রাখবে।
আল আনসারি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই গাজায় মানবিক সহায়তাও প্রবাহিত হবে। তিনি যোগ করেন, যেটুকু সাহায্য প্রয়োজন তার ‘একটি ভগ্নাংশ’ পাওয়া গেছে ।