ভারতে বাংলাদেশিদের থাকার নতুন নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৩ PM

নিজ দেশে ভয়ংকর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করলেও এগুলো অস্বীকার করে প্রতিবেশি মুসলিম দেশ বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ওপর এই দায় চাপায় ভারত। এবার বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পাসপোর্ট কিংবা অন্যান্য ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা দেশটিতে অতিরিক্ত সময়ের জন্য অবস্থান করতে পারবেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা ব্যক্তিরাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। 

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া ভারতের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট-২০২৫ এর আওতায় ওই সংখ্যালঘুরা কোনো ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হবেন না বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কোনো ব্যক্তি—হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান- যারা ধর্মীয় নিপীড়ন বা নিপীড়নের আশঙ্কায় ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর আগে প্রবেশ করেছেন, তারা বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়াই ভারতে থাকতে পারবেন। বৈধ পাসপোর্ট বা নথি নিয়ে যারা এসেছিলেন কিন্তু যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারাও এ নিয়মের বাইরে থাকবেন।

এই আদেশটি কার্যকর হয়েছে সদ্য পাস হওয়া ২০২৫ সালের ইমিগ্রেশন ও ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে। আইনটি সোমবার থেকে কার্যকর হয়। এতে ২০১৪ সালের পর ভারতে প্রবেশ করা অনেক মানুষ স্বস্তি পাবেন, যাদের এতদিন বৈধ পরিচয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।

এর আগে, নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বা সিএএ অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আসা সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হয়েছিলেন।