গাজায় অনাহারে ১৫ জনের মৃত্যু
-1231009.jpg?v=1.1)
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় খাদ্য সংকটে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে চারটি শিশু। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে এ পর্যন্ত মোট ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিন দিন বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা।
মঙ্গলবার অনাহারে ১৫ জনের মৃত্যুর ঘোষণাটি এমন এক সময় আসে, যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে কমপক্ষে আরও ৮১ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ গাজার পরিস্থিতিকে ‘সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যু ও ধ্বংসের এক ভয়াবহ প্রদর্শনী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন অনাহারজনিত কারণে মারা গেছেন। এর মধ্যে চারটি শিশু। আর মোট ১০১ জনের মধ্যে ৮০ জন শিশু রয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহে ঘটেছে।
সবশেষ মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে ছয় সপ্তাহের শিশু ইউসুফ আল-সাফাদি একজন। সে উত্তর গাজা শহরের একটি হাসপাতালে মারা গেছে। ১৩ বছর বয়সী আব্দুলহামিদ আল-গালবান দক্ষিণ খান ইউনিসের অন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে মারা গেছে।
ইউসুফের চাচা আদহাম আল-সাফাদি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘শিশুটির মা না খাওয়ার কারণে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেননি। আপনি কোথাও দুধ পাবেন না। মা বুকের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। খাবার ও পানীয় নেই, তাই বুকের দুধও নেই। অপুষ্টিতে শিশুটি মারা গেছে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণহানি ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।