ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলা; যা বলছেন বিশ্বনেতারা

গত মাসে কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর প্রাণঘাতী হামলার পর বুধবার (৭ মে) ভোরে পাকিস্তানে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারত। পাকিস্তান জানিয়েছে, ওই হামলায় আটজন নিহত হয়েছে এবং তারা এর পাল্টা জবাব দিচ্ছে।

হামলা নিয়ে বিশ্বনেতারা যা বলছেন-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প: ‘এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি মাত্রই ঘটনা সম্পর্কে শুনলাম। অতীতে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা থেকেই অনেকেই বুঝতে পেরেছিল কিছু একটা ঘটতে চলেছে। তারা বহু বছর ধরে, বরং বলা যায়, বহু দশক ধরে লড়াই করে আসছে। আমি আশা করি, এই সংঘাত খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও: ‘আমি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আজকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট যে মন্তব্য করেছেন, আমি তার প্রতিধ্বনি করছি। আশা করছি, এই পরিস্থিতির দ্রুত অবসান ঘটবে। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত থাকব।’

ইসরায়েল: পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভারতের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ নিয়ে দেশটির পাশে থাকার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বার্তায় ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার বলেন, "ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।" তিনি আরও যোগ করেন, "সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য কোনো আশ্রয়স্থল থাকবে না।"

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র: ‘ভারতের সেনা অভিযান আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছে- এ নিয়ে মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশের প্রতি সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বিশ্ব আর বহন করতে পারবে না।’

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই): পাকিস্তানে ভারতের হামলার পর এক বিবৃতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। বিবৃতিতে ভারত ও পাকিস্তানকে উভয়কেই “সংযম প্রদর্শন, উত্তেজনা প্রশমিত করা এবং এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।”

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি: ‘২২ এপ্রিল কাশ্মীরে যেটি ঘটেছে, সেটি একটি সন্ত্রাসী হামলা- আমাদের দেশ এর তীব্র নিন্দা জানায়। একইসঙ্গে, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে এই পরিস্থিতি পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে ধৈর্য দেখানোর এবং সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের জোর আহ্বান জানাই।’