ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর যা জানা গেল
-1160821.jpg?v=1.1)
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের কোনো ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত দেড়টা) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে শুরু হয় বৈঠকটি। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা আলোচনার পর দুই নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।
সেখানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠককে ‘গ্রেট প্রোগ্রেস’ হিসেবে অভিহিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি ও পুতিন একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং ‘কিছু অগ্রগতি’ হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় অন্যান্য নেতাদের ফোন করবেন। তিনি উল্লেখ করেন, চূড়ান্ত চুক্তি ‘শেষ পর্যন্ত’ তাদের ওপর নির্ভর করবে এবং সেই চুক্তিতে তাদের সম্মতি প্রয়োজন।
‘চুক্তি তখনই হবে, যখন সমঝোতা হবে’ জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, বৈঠকে ‘বড় অগ্রগতি (গ্রেট প্রোগ্রেস)’ হয়েছে, তবে ‘আমরা শেষ পর্যায়ে পৌঁছাইনি’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ আলোচনার পর আরও অগ্রগতি হওয়ার ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে। তিনি বলেন, আমি সবসময় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে অসাধারণ সম্পর্ক রাখি।
ট্রাম্প তাদের বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করলেও কিছু বিষয় এখনও সিদ্ধান্ত হতে বাকি আছে বলে জানান। তারপরও ট্রাম্প বলেন, আরও অগ্রগতি হওয়ার ‘খুব ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে।
বক্তব্যের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি ‘সম্ভবত’ আবার পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। তখন পুতিন ইংরেজিতে উত্তর দেন, ‘পরবর্তী বার মস্কোতে’।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য এই যুদ্ধের ‘মূল কারণগুলো’ নিরসন করতে হবে।
বৈঠকে তাদের আলোচনার কেন্দ্রে ইউক্রেন সংঘাত ছিল জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এই সংঘাতের মূল কারণগুলো নিরসন করতে হবে। তবে মূল কারণগুলো বলতে কী বোঝাচ্ছেন, তার বিস্তারিত উল্লেখ করেননি তিনি।