খুলছে নতুন দুয়ার, প্রথমবার চিকিৎসার জন্য চীনে গেল ১৪ রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ PM

প্রথমবারের মতো উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বাংলাদেশি ১৪ রোগী, চিকিৎসক এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর দলটি ঢাকা থেকে চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা করেছেন তারা। এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অতিথি, চিকিৎসক ও বিমান সংস্থার প্রতিনিধিরা।

আজ সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় চীনা দূতাবাস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই দলে ৩১ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে রোগী ও পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, ট্রাভেল এজেন্ট এবং সাংবাদিক রয়েছেন। তারা যথাক্রমে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন এবং ইউনান প্রদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো পর্যালোচনা করবেন। এ ছাড়া তারা চীনের পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ইউনানের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগ আয়োজিত বিনিময় কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করবেন।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন প্রতিনিধি দলের সফল সফর কামনা করেন। তিনি বলেন, এ'ই উদ্যোগ বাংলাদেশি জনগণকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীরভাবে অনুভব করতে সাহায্য করবে। এ সময় তিনি জনস্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে চীন সরকারের দীর্ঘস্থায়ী সমর্থন ও সহায়তার জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।' 

উভয় দেশের জনগণের জন্য বৃহত্তর সুবিধা বয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যাশাও করেন পররাষ্ট্র সচিব।

ঢাকায় কর্মরত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, 'বাংলাদেশ ও চীন সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার; যারা প্রয়োজনের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ায়। চীনের এই সফর কেবল দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সম্পাদিত ঐকমত্য বাস্তবায়ন করে না, বরং বাংলাদেশের জরুরি চাহিদা পূরণ, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান বৃদ্ধির প্রতি চীনের অঙ্গীকারকেও প্রতিফলিত করে। '

তিনি প্রতিনিধিদলের ইউনান ভ্রমণ, রোগীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করে বলেন, 'বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী এবং জনগণের সঙ্গে আদান-প্রদানের বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার এবং যৌথভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যের একটি বিশ্ব সম্প্রদায় গড়ে তোলার সুযোগ হিসেবে কাজ করবে।'