সবুজ ঘাসে হাঁটুন এবার কিছুক্ষণ
ঘাসের বুকে খালি পায়ে হাঁটার বেশ উপকারিতা রয়েছে। সবুজ ঘাসে হাঁটার মধ্যে এক অদ্ভুত রোমান্টিসিজম আছে। মটির সঙ্গে যেন সরাসরি মনের যোগাযোগ তৈরি হয়। ফুরফুরে মেজাজে আনন্দের হাওয়া বাতাস খেলে। তবে মাটির সঙ্গে যদি মন ও শরীরের সংযোগ তৈরি করতে হয় তাহলে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটতেই হবে আপনাকে
ডাক্তাররা বলেন, ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটলে একই সঙ্গে মাটি ও জৈব উপাদানের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয় শরীরের। যার প্রভাব খুবই ভাল। মানসিক চাপ কাটাতে এটা একরকম থেরাপিও বটে।
রক্ত চলাচল বাড়ে
খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের পেশির রিফ্লেক্স পয়েন্টগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্নায়ুর সক্রিয়তা বেড়ে। পেশির গঠন ভাল হয়। রক্ত চলাচল বাড়ে। কোমর থেকে পা অবধি শরীরে ভারসাম্য ভাল থাকে। গঠনও সুন্দর হয়। পায়ে চোট লাগার সম্ভাবনা কমে।
পায়ের ব্যাথা থেকে মুক্তি
খালি পায়ে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে পায়ের যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দিনে একবার হলেও নিজের বাড়ি ছাদে, বাগানে বা বাড়ির কাছের খোলা জায়গায় খালি পায়ে কিছুক্ষণ হলেও হাঁটার অভ্যাস করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটা সবচেয়ে ভাল।
মানসিক চাপ কমাতে
মন ভাল রাখারও একটা উপায় হল এই খালি পায়ে হাঁটা। অত্যধিক মানসিক চাপ, খিটখিটে মেজাজ, যখন তখন মুড সুইং ইত্যাদির থেরাপি করার সময় ডাক্তাররা খালি পায়ে হাঁটার কথাই বলেন। ভোরের অক্সিজেন ও শিশিরভেজা ঘাসের সঙ্গে শরীরের যোগাযোগ তৈরি হলে মনের উপরেও তার ছাপ পড়ে। ক্লান্তি দূর হয়।
শক্তি জোগাতে
মাটির এমন একটা ইলেকট্রিকাল পাওয়ার থাকে যা শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। বিজ্ঞান বলে, খালি পায়ে হাঁটলে ভূমি থেকে নেগেটিভ আয়ন শরীরে সঞ্চালিত হয়। পায়ের সঙ্গে সরাসরি মাটির যোগাযোগ হলে ইলেকট্রনের প্রবাহ হয়। ফলে শরীরের পেশি, স্নায়ু সচল হয়ে ওঠে।
রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও রকম ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ কমে। জ্বালাপোড়া ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা খালি পায়ে হাঁটবেন কিনা সেটা ডাক্তারের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।