জর্ডানকে হারিয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতার
অনেক নাটকীয়তায় শেষ হলো এবারের এশিয়া কাপ। বিশ্বকাপে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, ইরানকে পরাজিত করে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে জর্ডান ও কাতার। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছিল জর্ডান। কিন্তু তাদের দৌড় সেখান পর্যন্তই। শেষ ধাপটি আর পার হতে পারলো না তারা। স্বাগতিক কাতারের কাছে হেরেছে তারা। জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখলো বিশ্বকাপের আয়োজনকারী দেশটি।
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল। সেই মাঠেই ফাইনালে জর্ডানের মুখোমুখি হয় কাতার। এই ম্যাচে কাতারের তিনটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে এবং তিনবারই শট নেন আকরাম আফিফ। অর্থাৎ আকরাম আফিফের পেনাল্টি হ্যাটট্রিক হলো এই ম্যাচে।
২০১৯ সালেও এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল কাতার। সেবারের ফাইনালে হারিয়েছিল এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দেশ জাপানকে। এবার লুসাইল স্টেডিয়ামে কাতার-জর্ডান ফাইনাল দেখার জন্য হাজির হয়েছিল ৮৬ হাজার ৫০০ জন দর্শক। দর্শকদের মধ্যে হাজির ছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন আকরাম আফিফ। ১-০ ব্যবধানে প্রথমার্ধ শেষ হয়। এরপর ৬৭ মিনিটে জর্দানকে গোলটি শোধ করে দেন ইয়াজান আল নাইমাত।
১-১ গোলে সমতায় আসার পর ম্যাচে চরম নাটকীয়টা অপেক্ষা করছিল; কিন্তু আরও দুটি পেনাল্টি পেয়ে যায় কাতার। যে কারণে জর্ডানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয়টি এবং ৯০+৫ মিনিটে তৃতীয় পেনাল্টি থেকে গোল করে কাতারকে শিরোপা নিশ্চিত করে দেন আকরাম আফিফ। সে সঙ্গে নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন তিনি।
মোট ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল জয় করেন কাতারের এই ফুটবলার। শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বলও উঠেছে তার হাতে।
ম্যাচের পর কোচ মার্কুয়েজ লোপেজ বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানাতে চাই কাতারি জনগণ এবং খেলোয়াড়দের। অসম্ভব কঠিন এক টুর্নামেন্ট এবং কঠিন এক ফাইনাল জিততে পেরে দারুণ খুশি আমরা। খুবই টেনশনে ছিলাম।’