আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচে মারামারি; পুলিশের লাঠিচার্জ, আর্জেন্টাইন তরুণী গ্রেপ্তার, মেসির নিন্দা
ফুটবল মানেই বাড়তি একটা উত্তেজনা। আরও সেটা যদি হয় লাতিন আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ, তবে দুই দলের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের মাঝে বাড়তি উন্মাদনা। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সুপার ক্লাসিকো ম্যাচে তার প্রমাণ মিলেছে আরও একবার।
গতকাল মারাকানায় দারুণ একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থকরা। তবে নান্দনিক ফুটবলের চাইতে ফাউল এবং মাঠের বাইরের লড়াইয়ের কারণেই বেশি আলোচিত হয়েছে জনপ্রিয় দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি।
ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এর আগে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ শেষে এক আর্জেন্টিনা নারী সমর্থককে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। এই তথ্য জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’।
পুলিশের দাবি– মারিয়া বেলেম মাতেউচ্চি নামে ওই সমর্থকের বিরুদ্ধে মাঠে কর্মরত এক সদস্যের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানিয়েছেন, ওই নারী তাকে বানর (পিচ অব মানকি) বলে গালি দিয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় সবমিলিয়ে আটক করা হয়েছে ১৭ জনকে। পরে তাদের স্টেডিয়ামের স্পেশাল ক্রিমিনাল কোর্টে (জেক্রিম) হাজির করা হয়।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত চলাকালেই দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন ব্রাজিলের কিছু সমর্থক। একপর্যায়ে দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ লাঠিচার্জের আশ্রয়ও নিয়েছিলেন।
একপর্যায়ে প্রতিবাদ জানাতে দলকে মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন লিও। যার সুবাদে খেলাও বন্ধ ছিল লম্বা সময় ধরে। ম্যাচের পর ব্রাজিল পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে এমন ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ মেসি মাঠের খেলার দিকে ব্রাজিলিয়ানদের মনোযোগ নেই বলেও সরাসরি কটাক্ষ করেছেন।
মেসি বলেন, ‘আমরা দেখেছি পুলিশ কীভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে সেসবেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে।’
পরবর্তীতে গ্যালারির মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে মেসির প্রতিক্রিয়ার জবাব দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এক বিবৃতিতে সিবিএফ জানায়, খেলায় শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পুরো দায় ছিল রিও ডি জেনিরোর পুলিশের হাতে।
সংঘর্ষ শুরুর পর মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধি এবং রিও’র সামরিক পুলিশের সঙ্গে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথাও জানায় সংস্থাটি।