বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ায় কমছে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫০ PM

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমছে ডিমের দাম। তবে আজ বৃহস্পতিবারও ভোক্তা পর্যায়ে যৌক্তিক দামে কোথাও ডিম বিক্রি হয়নি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজার তদারকির প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে আসে।

দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও ডিমের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ১০০টি ডিম ১ হাজার ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা দুই দিন আগে ছিল ১ হাজার ৩০০ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আরও দুই-এক টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ প্রতিটি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে। যা গত তিন দিন আগে ছিল ১৪ টাকা ১৭ পয়সা থেকে ১৫ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের—টিসিবি বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায়। যা দুই দিন আগে ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সায়। যদিও যৌক্তিক দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা।

ডিমের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তেজগাঁও ডিমের পাইকারি ব্যবসায়ী ফাইজুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার ইচ্ছা করলে ডিমের দাম কমাতে পারবে। ডিমের বাজারে বড় কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ, মুরগির খাবার ও বাচ্চা বড় কোম্পানির হাতে। খাদ্য ও বাচ্চার দাম কমানো গেলে ডিমের দাম অবশ্যই কমে আসবে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারি করতে হবে। বড় ব্যবসায়ীরা সরকারের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ফেলেন। এ কারণে তাঁরা কঠোর পদক্ষেপ নেন না।’

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত দুই দিন ধরে তেজগাঁও ও ঠাটারী বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম সরবরাহ করছে। এ কারণে দাম কমে আসছে। কোম্পানিগুলো ইচ্ছা করলে আগে থেকেই সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পারত। তবে দামের বিষয়টি তেজগাঁও বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে ভাঙতে হবে। খাবার ও বাচ্চার দাম কমানো হলে ডিমের দাম অনেক কমবে।’

তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি শুরু করেছেন। তেজগাঁও ঠাটারী বাজারে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ লাখ ডিম সরবরাহ করেছে। যদিও তারা ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করার কথা দিয়েছিল। পাঁচ-ছয়টি প্রতিষ্ঠান ডিম সরবরাহ দিয়েছে। অন্যরা দেওয়ার চেষ্টা করছে।