এবি পার্টির ১০৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা 

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫১ PM

১০৯ আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা উপলক্ষে রাজধানীর পল্টনের ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবি পার্টি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু  আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিনসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

এবি পার্টির মনোনীত ১০৯ প্রার্থী

এবি পার্টির ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—
পঞ্চগড়-২ আসনে আবু বকর সিদ্দিক ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নাহিদ রানা।
দিনাজপুর-২ আসনে আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, দিনাজপুর-৩ আসনে খন্দকার মাসুম, দিনাজপুর-৬ আসনে সানী আবদুল হক এবং নীলফামারী-৩ আসনে আলতাফ হোসাইন।
লালমনিরহাট-১ আসনে আবু রাইয়ান আশয়ারী ও লালমনিরহাট-৩ আসনে ফিরোজ কবির।

রংপুর বিভাগে—রংপুর-১ আসনে মো. আখতারুজ্জামান, রংপুর-২ এ আমিনুল ইসলাম, রংপুর-৩ এ আবদুর রউফ, রংপুর-৪ এ জাহিদুল ইসলাম, রংপুর-৫ এ আবদুল বাসেত মারজান এবং রংপুর-৬ এ মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম-২ আসনে মো. নজরুল ইসলাম খান ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. আবদুল কাদের মিয়া।
গাইবান্ধা-১ এ মো. তাজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ এ খাইরুল আলম ও গাইবান্ধা-৩ এ মঞ্জুরুল হক।

জয়পুরহাট-১ এ সুলতান মো. শামছুজ্জামান ও জয়পুরহাট-২ এ এস এ জাহিদ সরকার।
নওগাঁ-২ এ মতিবুল ইসলাম বুলু ও নওগাঁ-৫ এ আতিকুর রহমান।
রাজশাহী-১ এ মুহাম্মদ আবদুর রহমান মুহসেনী, রাজশাহী-২ এ সাঈদ নোমান ও রাজশাহী-৩ এ আফজাল হোসাইন।
নাটোর-১ এ মোকারেবুর রহমান নাসিম ও নাটোর-৪ এ মোকসেদুল মোমিন।

সিরাজগঞ্জ-১ এ সাব্বির হোসেন তামিম ও সিরাজগঞ্জ-৬ এ আনোয়ার সাদাত টুটুল।
পাবনা-৪ এ শাহ আবদুর রহমান ও পাবনা-৫ এ মো. আবদুল মজিদ মোল্লা।
কুষ্টিয়া-৪ এ আবু বক্কর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা-১ এ আবদুল্লাহ আল মামুন রানা ও চুয়াডাঙ্গা-২ এ আলমগীর হোসেন।
ঝিনাইদহ-১ এ মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ এ হাদীউজ্জামান খোকন ও ঝিনাইদহ-৩ এ মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম।
মেহেরপুর-১ এ রফিকুজ্জামান রফিক, যশোর-২ এ রিপন মাহমুদ, যশোর-৩ এ মো. ইয়ামিনুর রহমান, যশোর-৫ এ মো. হাবিবুর রহমান ও যশোর-৬ এ মাহমুদ হাসান।

মাগুরা-২ এ মো. ইমরান নাজির; বাগেরহাট-১ এ আমিনুল ইসলাম; খুলনা-১ এ জসিম উদ্দিন ও খুলনা-৫ এ শেখ মাসুদুল আলম।
সাতক্ষীরা-২ এ জি এম সালাউদ্দিন শাকিল ও সাতক্ষীরা-৪ এ শেখ আবিদ হোসেন।

বরিশাল বিভাগে—পটুয়াখালী-১ এ মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, বরিশাল-৩ এ আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বরিশাল-৫ এ তারিকুল ইসলাম, পিরোজপুর-২ এ ফয়সাল খান ও ঝালকাঠি-২ এ শেখ জামাল হোসেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে—জামালপুর-৩ এ লিপসন মিয়া, জামালপুর-৪ এ জাহিদ হাসান, জামালপুর-৫ এ সানোয়ার হোসেন।
শেরপুর-২ এ মো. আবদুল্লাহ বাদশাহ, নেত্রকোনা-২ এ আবদুল মান্নান ও নেত্রকোনা-৫ এ মাহমুদুল হাসান চৌধুরী।

ঢাকা বিভাগে—মানিকগঞ্জ-৩ এ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জনি, ঢাকা-৪ এ শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা-৫ এ লুৎফর রহমান আব্বাসী, ঢাকা-৬ এ গাজী নাসির, ঢাকা-৮ এ আবদুল হালিম খোকন, ঢাকা-৯ এ বি এম নাজমুল হক, ঢাকা-১০ এ নাসরীন সুলতানা মিলি, ঢাকা-১১ এ মাহবুব শামিম, ঢাকা-১২ এ এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা-১৪ এ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ঢাকা-১৬ এ সেলিম খান, ঢাকা-১৭ এ ফারাহ নাজ সাত্তার, ঢাকা-১৮ এ আবদুল হালিম নান্নু ও ঢাকা-২০ এ লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহাম্মাদ।

গাজীপুর-২ এ আলমগীর হোসাইন, গাজীপুর-৩ এ কৌশিক আহমেদ ও গাজীপুর-৬ এ আব্বাস ইসলাম খান।
নারায়ণগঞ্জ-৩ এ আরিফুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ-৫ এ শাহজাহান বেপারী।
গোপালগঞ্জ-১ এ মুহাম্মদ প্রিন্স।

সিলেট বিভাগে—সুনামগঞ্জ-৩ এ জসিম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ-৪ এ রেজাউল ইসলাম শোয়েব, সিলেট-১ এ মো. ওমর ফারুক, সিলেট-৩ এ নাজমুল ইসলাম সোহেল, সিলেট-৫ এ আলতাফ হোসাইন ও হবিগঞ্জ-৪ এ মোকাম্মেল হোসেন রবিন।

চট্টগ্রাম বিভাগে—কুমিল্লা-১ এ শফিউল আলম বাশার, কুমিল্লা-৩ এ এম শহীদুল ইসলাম শাহেদ, কুমিল্লা-৫ এ যোবায়ের আহমদ ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৬ এ মিয়া মো. তৌফিক ও কুমিল্লা-১০ এ আবদুল্লাহ আল মামুন।
চাঁদপুর-২ এ রাশিদা আক্তার মিতু, ফেনী-২ এ মজিবুর রহমান মঞ্জু, নোয়াখালী-৩ এ হাকিম মো. মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-১ এ আনোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ এ কেফায়েত হোসেন তানভীর ও লক্ষ্মীপুর-৪ এ মিয়া আরিফ সুলতান।
চট্টগ্রাম-৩ এ আতাউর রহমান নুর, চট্টগ্রাম-৫ এ লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৭ এ আবদুর রহমান মনির, চট্টগ্রাম-৮ এ মো. গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম-৯ এ হায়দার আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ এ এস এ কাশেম ও চট্টগ্রাম-১১ এ মোহাম্মদ লোকমান।
কক্সবাজার-১ এ এ বি ওয়াহেদ, কক্সবাজার-২ এ এনামুল হক সিকদার, কক্সবাজার-৩ এ সারওয়ার সাঈদ, কক্সবাজার-৪ এ শামসুল হক শারেক এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ফারজানা আলম।

প্রার্থী মনোনয়নের মানদণ্ড

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রার্থী মনোনয়নে দলীয় সম্পৃক্ততা, গ্রহণযোগ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থান এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থী তালিকায় নারীদের কম উপস্থিতি ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, নারীরা রাজনীতিতে কিছুটা পেছনে থাকতে চান। আমাদের সমাজে একজন নারীর প্রার্থী হওয়া বা নির্বাচন পরিচালনা করা এখনও চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে আমরা নারীদের অগ্রাধিকার দিতে চাই। ইনশা আল্লাহ, পরবর্তী তালিকায় ৮ থেকে ১০ জন নারী প্রার্থী যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, ‘এবি পার্টি একটি নতুন দল। এ দল সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা ও অপপ্রচার রয়েছে। ফলে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা বিশ্বাস করি, দল বিস্তৃত হলে তা আরও শক্তিশালী অবস্থানে যাবে।’