৬ খাতে বিনিয়োগ করা হবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের বড় একটি প্রজেক্ট হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিম। এই স্কিমের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। চালুর প্রায় ১১ মাস পর গতকাল রবিবার (১৪ জুলাই) সর্বজনীন পেনশন স্কিমের তহবিল বিধিমালা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে পেনশন তহবিলে জমা হওয়া অর্থ বিনিয়োগ করা হবে সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুকসহ ছয়টি খাতে। এ তহবিল ব্যবস্থাপনায় থাকবে আট সদস্যের কমিটি।
ছয়টি কম ঝুঁকিপূর্ণ খাত চিহ্নিত করে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয় বিধিমালায়। খাতগুলো হলো, সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুক, শেয়ারবাজারের মিউচুয়্যাল ফান্ড, ডাবল এ র্যাংকিংয়ে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানত, এ ক্যাটাগরির বন্ড এবং সরকারের অবকাঠামো খাত।
পেনশন স্কিমের অর্থ বেসরকারি কোম্পানি ও বিদেশে বিনিয়োগ করা যাবে না। একক খাত হিসেবে ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে না। এই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবে।
সংস্থাটির সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পেনশন ফান্ড ম্যানেজমেন্টের পরিচালন ব্যয় জমাকারীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে না। এটা কিন্তু সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই পেনশন স্কিম চালু করা হচ্ছে। এটি রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত। ফলে এটি নিয়ে কারও মধ্যে সংশয় বা দ্বিধা তৈরি হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
কমিটি সিকিউরিটিজের সম্ভাব্য মুনাফা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সুপারিশ করবে। যেকোনো ব্যবসা, অর্থ ও বিনিয়োগের পরিমাণ নিয়েও পরামর্শ দেবে কমিটি।
এদিকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এর আওতায় পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজারই রয়েছে সমতা স্কিমে। তহবিলে জমা হয়েছে শত কোটি টাকা।