চালের দামও নির্ধারণ করে দেবে সরকার
বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্প্রতি ২৯ টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এবার জাত ও উৎপাদন খরচের ভিত্তিতে চালের দাম বেঁধে দেবে সরকার। আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে চালের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে চালকল, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম ও উৎপাদন খরচ নির্ধারণের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শিগগিরই বৈঠক শেষে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।'
সরকার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারবে আশা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মনে করি, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারব। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে এবং আপনারা সবাই তা জানেন। সরকার সেগুলো নিয়ে কাজ করছে।'
গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে টাস্কফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে।
ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ আগামী দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির খোলাবাজারে বিক্রি শুরু হবে।
পেঁয়াজের প্রথম চালান পৌঁছানোয় এখন বাংলাদেশ চাহিদাপত্র দিলে বাকি পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত সরকার।
দুই দেশের সরকারের চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ২০ হাজার টন চিনি আমদানি করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আহসানুল ইসলাম টিটুর মতে, বর্তমানে ভারত থেকে চিনি আমদানির প্রয়োজন নেই কারণ বাজারে পর্যাপ্ত চিনি আছে।
টিসিবির কিছু নিত্যপণ্য কম দমে বিক্রির ফলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশা করেন তিনি।
গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে মসুর ডাল, ছোলা, ডিম, পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসসহ ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দেয় এবং এই নির্ধারিত দামে ব্যবসায়ীদের এসব পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত দাম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। দাম বেঁধে দেওয়া হলেও সব পণ্য নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে না।