আজ থেকে যেসব স্থানে কম দামে মিলবে দুধ-ডিম-মাংস

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৪, ১১:২৮ AM

গতকাল সোমবার দেশের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পর আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। এবারের রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে আজ থেকে রাজধানীর ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা হবে। সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।

প্রাণীসম্পদমন্ত্রী জানান, প্রথম রমজান থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস, ৯০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংস, ব্রয়লার মুরগি (ড্রেসড) ২৫০ টাকা কেজি, দুধ ৮০ টাকা লিটার এবং প্রতিটি ডিম সাড়ে ১০ টাকা করে বিক্রি করা হবে।

যেসব স্থানে কম দামে গরুর মাংস, ডিম ও দুধ পাওয়া যাবে-
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র– ১. নতুনবাজার (বাড্ডা), ২. কড়াইল বস্তি (বনানী), ৩. খামারবাড়ি (ফার্মগেট), ৪. আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), ৫. গাবতলী, ৬. দিয়াবাড়ী (উত্তরা), ৭. জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ৮. ৬০ ফুট রোড (মিরপুর), ৯. খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), ১০. সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), ১১. সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), ১২. আরামবাগ (মতিঝিল), ১৩. রামপুরা, ১৪. কালসী (মিরপুর), ১৫. যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), ১৬. বসিলা (মোহাম্মদপুর), ১৭. হাজারীবাগ (শিকশন), ১৮. লুকাস (নাখালপাড়া), ১৯. আরামবাগ (মতিঝিল), ২০. কামরাঙ্গীর চর, ২১. মিরপুর ১০, ২২. কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), ২৩. তেজগাঁও, ২৪. পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), ২৫. কাকরাইল।

স্থায়ী বাজার– ১. মিরপুর শাহ আলি বাজার, ২. মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, ৩. নতুন বাজার (১০০ ফুট), ৪. কমলাপুর, ৫. কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

কার্যক্রমটি তদারকি ও মনিটরিং করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।