নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আসন্ন রমজান ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালে রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সময়ে মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে এ হুশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, রমজান মাসে তেল চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো যাবে না। যারা মজুতদারি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবে তাদের ব্যাপারে কঠোর হতে একটুও পিছপা হবো না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের অবৈধ মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট করা যাবে না। যারা বেশি মুনাফার লোভে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেনে। ভয়-ভীতি বা জরিমানা করা আমাদের উদ্দেশ্য নেই। আমাদের উদ্দেশ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিকারকদের থেকে রিটেইলারের মাধ্যমে ভোক্তার কাছে সহজে সকল পণ্য যেন পৌঁছে যায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। একটি স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা। যারা সৎভাবে ব্যবসা করবে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে। কিন্ত যেসব ব্যবসায়ী সুযোগ নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ডিলাররা। তাদের সহযোগিতা না পেলে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করা সম্ভব হতো না। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ডিলারদের অবশ্যই জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ডিলারশিপ প্রতিবছর পুনঃনিবন্ধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে প্রমাণিত হলে ডিলারশিপ বাতিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এক কোটি স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ২০ লাখ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। বাকি কার্ড জুনের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের জন্য আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা করব। বিশেষ করে যারা কর্মজীবী মানুষ তারা যেন বিকালেও নিতে পারে সেই ব্যবস্থাগুলো আমরা সামনে নিয়ে আসব। আমরা শুরু করেছিলাম ট্রাক দিয়ে। সেখান থেকে দোকানে এসেছি। পরে এটা যেন ন্যায্যমূল্যের দোকানের মতো হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাল ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে চাল ক্রয় করেন তার পাকা রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। যদি স্বাভাবিক বাজারের তুলনায় সংকট দেখিয়ে বেশি দামে নেয় তাহলে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। টাকা থাকলেই পণ্য মজুত করবে তার লাইসেন্স বা অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা করতে হলে নিয়ম মেনে করতে হবে। রমজানে অত্যবশ্যকীয় পণ্য কোনোভাবেই মজুত করা যাবে না। পবিত্র এ মাসে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য সকল ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।