বোয়িং কেনা নিয়ে নতুন তথ্য বাণিজ্য উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫২ PM

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চলাকালে ২৫টি বোয়িং বিক্রির প্রসঙ্গ একবারের জন্যও উত্থাপন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এ চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই মনে করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তো‌জার সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। শুক্রবার (১ আগস্ট) গোলাম মোর্তোজা ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হতে যাওয়া বাংলাদেশের বাণিজ্য চুক্তিকে বলা হচ্ছে নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট। অর্থাৎ চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করা যাবে না। এ চুক্তি কতটা দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে আলাপচারিতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করছে না বাংলাদেশ। বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার পর তাদের সম্মতির ভিত্তিতে তথ্য প্রকাশ করা হবে। 

শুল্ক বিষয়ক দেনদরবার নিয়ে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য ও বিমান উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ৩৫ শতাংশ থেকে পাল্টা শুল্ক ২০ ভাগে নেমে এলেও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। এ থেকে ফল পেতে গেলে নিজস্ব সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। দুঃখজনক হলেও চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেছে, সেখানে আসলে দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছুই নেই। যেসব বিষয় ইনডিরেক্টলি স্বার্থবিরোধী হতে পারে, সেগুলো থেকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে বের হয়ে এসেছি। চুক্তি হলে দেশটির সম্মতিতে তথ্য প্রকাশ করা হবে।

তিনি জানান, দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্য আমদানি ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে চায় সরকার।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা বহির্বিশ্ব থেকে ১৫-২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য আমদানি করি। আমরা যদি প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কৃষিপণ্য আমদানি করতে পারি, তাহলে ভোক্তাদের কম দামে দিতে পারবো। বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমাদের ঘাটতি ৬ বিলিয়ন ডলারের। আমরা ২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি করতে পারলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে।

আকাশ পথের যাত্রীর চাপ হিসেব করলে ২৫টি বিমান কিছুই না জানিয়ে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিমানের সক্ষমতা বাড়াতে পরিবর্তন আসছে আইন ও বিধিতে। বোয়িং বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি যুক্তরাষ্ট্র। আকাশ পথে যে পরিমাণ যাত্রীর চাপ রয়েছে, তাতে ২৫টি বিমান কিছুই না। সক্ষমতা না বাড়ালে নতুন উড়োজাহাজ কোনো কাজে আসবে না। এজন্য আমরা আইন ও বিধিতে পরিবর্তন আনছি।