স্বর্ণের পর দেশে রুপার দামেও রেকর্ড

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের সঙ্গে সঙ্গে রূপার দামও এখন চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি ২২ ক্যারেট রূপার প্রতি ভরি প্রায় ৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ করেছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি খরচ ও ডলারের বিনিময় হারের অস্থিরতার কারণে রূপার দাম বাড়ছে।
প্রাচীনকালে বহুমুখী ব্যবহারের কারণে রূপার কদর স্বর্ণের চেয়েও বেশি ছিল। বর্তমানেও গহনা, ইলেকট্রনিক্স, সোলার প্যানেল, স্মার্টফোন ও ডেটা সেন্টারে রূপার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বর্ণের সঙ্গে এই ধাতুটির দামও ক্রমবর্ধমান রেকর্ড করে চলেছে।
দেশে প্রতিভরি রূপার দাম এখন প্রায় ৫ হাজার টাকা। চলতি বছরে ষষ্ঠবারের মতো রূপার দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এর মধ্যে পাঁচবার দাম বেড়েছে, একবার কমেছে। সর্বশেষ ঘোষণায় ২২ ক্যারেট রূপার প্রতি ভরি নির্ধারণ করা হয়েছে রেকর্ড ৪,৯৮১ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ৪,৭৪৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ৪,০৭১ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম যেভাবে বেড়েছে সেভাবে রুপার দাম বাড়েনি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি, আমদানি খরচ ও ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতার কারণে স্বর্ণের মতো রূপার দামও বাড়ছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, “স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে এটি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই মানুষ হয়তো রূপার দিকে ঝুঁকছে। পাশাপাশি রূপার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।”
অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, “আগে স্বর্ণের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মধ্যবিত্তরা স্বর্ণ কেনার সামর্থ্য হারাচ্ছে।”
বাজুস সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো রিজার্ভ করতেছে। এই জন্য স্বর্ণের দাম যে হারে বেড়েছে সেই হারে রুপার দাম বাড়েনি। তারপরও ওইটার সাথে সমন্বয় করে টুকটাক দাম বাড়ছে।’
শুধু দেশ নয়, বিশ্ববাজারেও রুপার দাম চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স রুপার দাম ছুঁয়েছে ৫১ ডলার। বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্বর্ণের পাশাপাশি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে রুপার দিকেও ঝুঁকছেন অনেকে। এ অবস্থায় চাহিদা বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের কারণে এই ধাতুটির দাম বাড়ছে।